| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত আদালতের রায়ে অসন্তোষ ফুলপরী, অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি 


আদালতের রায়ে অসন্তোষ ফুলপরী, অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি 


রহমত নিউজ     01 March, 2023     02:36 PM    


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী।

বুধবার (১ মার্চ) সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এর আগে একই দিন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘটনায় পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ভুক্তভোগী ফুলপরীর পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সাময়িক বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অভিযুক্ত অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘হাইকোর্টের রায়ে আমি অসন্তোষ। কারণ অভিযুক্তরা আমার ওপর নির্যাতন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার ও পড়ার কোনো যোগ্যতা নেই ওদের। আমি তাদের সবাইকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন ওই ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী। র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা।